যাত্রীবোঝাই বাসের সাথে মারুতির সংঘর্ষ , দুর্ঘটনা হুগলীর হরিপালে

16th June 2020 5:49 pm হুগলী
যাত্রীবোঝাই বাসের সাথে মারুতির সংঘর্ষ , দুর্ঘটনা হুগলীর হরিপালে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) :  যাত্রী বোঝাই বাসের সাথে মারুতি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে নয়নজুলিতে উল্টে গেল বাস। আহত ১০ জন বাস যাত্রী। গুরুতর আহত অবস্থায় মারুতি গাড়ির চালক। আহতদের হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতাল ও শিয়াখালা বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দূর্ঘটনাটি ঘটেছে হরিপাল থানার অহল্যাবাই রোডের সিপাইগাছি এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, প্রচন্ড বৃষ্টির কারণে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ার কারণে তারকেশ্বরের চাঁপাডাঙ্গা থেকে দক্ষিণেশ্বর ২৬ নং রুটের বাসের সঙ্গে উল্টোদিক থেকে আসা মারুতি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এরপর বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশে নয়ানজুলিতে উল্টে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে উদ্ধার কাজে হাত লাগায়। পরে  ঘটনাস্থলে আসে হরিপাল থানার পুলিশ। বেশ কিছুক্ষন ধরে জানজট সৃষ্টি হয় অহল্যাবাই রোড। স্থানীয় বাসিন্দা " দেবাশীষ পাত্র " বলেন প্রচন্ড বৃষ্টির সময় এই ঘটনা ঘটে।  প্রথমে স্থানীয় মানুষেরা এগিয়ে আসে এবং তাদের উদ্ধার কাজে হাত লাগাই। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। মারুতি গাড়ি চালকের পায়ের অবস্থা খুব খারাপ। দেরিতে পুলিশ আছে বলে অভিযোগ। ফলে  বেশকিছুক্ষণ অহল্যাবাই  রোড বন্ধ হয়ে যায়। পরে হরিপাল থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।  ক্রেন দিয়ে গাড়ি গুলোকে তোলার চেষ্টা করে। অন্যদিকে  স্থানীয় বাসিন্দা শেখ আব্দুলা  জানান ২৬ নম্বর বাসটি আসছিল  চাপাডাঙ্গার দিক থেকে, মারুতি গাড়ি আসছিল চন্ডীতলার দিক   থেকে। দুজনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এবং বাসটি উল্টে যায়।এলাকার মানুষ তাদের উদ্ধার করে  হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠায়।   অভিযোগ মারুতি গাড়ি চালক মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলো। হরিপাল থানার পুলি তদন্তশুরু করেছে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।